আল-নাসরে যোগ দিয়ে ট্রফিবিহীন হতাশার এক মৌসুম কাটিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। সেখান থেকে হয়তো তিনি নিজেকে উজ্জ্বীবিত করেছেন, উদ্দীপ্ত করেছেন সৌদি আরবের ক্লাবটিকেও।
নতুন মৌসুমে নাসরকে ডানা বানিয়ে রীতিমতো উড়ছেন এই পর্তুগিজ সুপারস্টার। সর্বশেষ ৯ ম্যাচে তিনি ১১ গোল এবং ৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন। দল অপরাজিত রয়েছে সবমিলিয়ে ১২ ম্যাচ, এর মধ্যে কেবল একটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে আল-নাসর ৪-৩ গোলের ব্যবধানে জিতেছে। কাতারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব আল দুহাইলের বিপক্ষে এদিন জোড়া গোল করেছেন রোনাল্ডো। তার মধ্যে একটি ছিল বাঁ-পায়ে দূরপাল্লার এক দারুণ গোল।
এর আগে ম্যাচের ২৫ মিনিট পর্যন্ত আল দুহাইলের রক্ষণ ভাঙতে পারেনি আল-নাসর। কিন্তু তার পরই রোনাল্ডোর ঝলক। ব্যাকহিলে সতীর্থ অ্যান্ডারসন তালিসকাকে নিখুঁত পাস দেন রোনাল্ডো। ব্রাজিল ফরোয়ার্ড মাটি ঘেঁষাশটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে সক্ষম হন। সহজেই লিড পেয়ে যায় আল-নাসর। প্রথমার্ধে আর কোনো দলই গোলের দেখা পায়নি।
তবে বিরতির পর দু’দল মিলে করেছে ৬টি গোল। ৫৬ মিনিটে নাসরের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সাদিও মানে। দুহাইলের ডিফেন্ডাররা যখন রোনাল্ডোকে নিয়ে ব্যস্ত, সেই সময়ে সাদিও মানেকে মার্ক করতে ভুলে যায় তারা। ফলে সুযোগ পেয়েই কাজে লাগাতে ভুল করেননি সেনেগালিজ তারকা। এরপর গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুহাইল। তবে গোল করার চেষ্টায় রোনাল্ডোর মনোযোগ সরে যায় তাদের। সেই সুযোগে সিআরসেভেন ব্যবধান বাড়িয়ে নেন।
ম্যাচের ৬১ মিনিটের পেনাল্টি বক্সের বাইরে ডান দিক থেকে আসা একটি শট ধরে চোখধাঁধানো গোলটি করেন রোনাল্ডো। গোলপোস্ট থেকে ২০ গজ দূর থেকে নেওয়া তার শটটি ছিল বাঁ-পায়ের বাঁক খাওয়ানো। গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে কিছুটা হাত ছোঁয়ালেও বলটি আটকাতে পারেননি। এর পর গোল পেতে সময় লাগেনি দুহাইলেরও। ৬৩ ও ৬৭ মিনিটে তাদের হয়ে পরপর দুই গোল করেন ইসমাইল মোহাম্মদ ও আলমোয়েজ আলি।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে ফের রোনাল্ডো ম্যাজিক। ডান প্রান্ত ধরে সতীর্থের ভাসিয়ে দেওয়া বলে বাঁ-পায়ের দারুণ ভলিতে তিনি বল জালে জড়ান দ্বিতীয়বা। গোলরক্ষকের কিছুই করার ছিল না। দুহাইলের হয়ে ৮৫ মিনিটে আরেকটি গোল করেন অলুঙ্গা। তখন মনে হয়েছিল ম্যাচটি রোনাল্ডোদের হাতছাড়া হয় কিনা, তবে শেষ পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটেনি।